বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল: লন্ডনে বাংলাদেশিদের নতুন মিলনকেন্দ্র

লন্ডনে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালযুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধনের পরই তা ব্রিটিশ রাজধানীতে বাংলাদেশি প্রবাসী ও পর্যটকদের মিলনকেন্দ্র হয়ে ওঠেছে। টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় স্থাপিত মহান নেতার এ স্মৃতিসৌধে পুরুষ, নারী ও শিশুরা ভিড় জমাচ্ছেন। ব্রিটেনে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার জন্য একটি প্রধানকেন্দ্রেও পরিণত হয়েছে এই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল।

রবিবার আওয়ামী লীগ নেতা আফসার সাদেকের বাসায় একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে শেখ মুজিবের মুক্তির দিন উদযাপন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিডনি রোডে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘তিনি (সাদেক) বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করে সাহসী কাজ করেছেন।’

পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিলাভের দিনটিকে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করেন আবদুল গাফ্‌ফার। তিনি জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাইরে একটি নতুন গর্বিত অধ্যায়ের সূচনা হলো।’

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার এম. নাজমুল কাউয়ানাইনও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তপক অর্পণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অন্যতম একজন মহান  নেতা হিসেবে এবং স্মৃতিসৌধ স্থাপনকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের যুগোপযোগী আয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

আয়োজক আফসার সাদেক জানান, লন্ডনে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে পর্যটকদের জন্য একটি ভ্রমণের স্থানে পরিণত হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধ স্থাপনে তার দীর্ঘদিনের চেষ্টা সফল হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও  উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার নাদীম কাদির, আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সুলতান শরিফসহ প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ।

/এএ/ এপিএইচ/