স্বাধীনতার জন্য আবারও গণভোট চায় স্কটল্যান্ড

নিকোলা স্টার্জিওনস্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জিওন ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজনে তিনি স্কটিশ সংসদের অনুমতি চাইবেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে সোমবার তিনি এ ঘোষণা দেন। আগামী সপ্তাহে এ অনুমোদন চাইবেন তিনি।

সোমবার রাজধানী এডিনবার্গে সরকারি বাস ভবন বুটে হাউসে স্টার্জিওন বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া শেষে (ব্রেক্সিট) যাতে করে স্কটল্যান্ডের সামনে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমি নেব। এ সিদ্ধান্ত হবে, ব্রেক্সিটের পক্ষে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্কটল্যান্ড থাকবে নাকি স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত হবে’।

ফার্স্ট মিনিস্টার চান ২০১৮ সালের শেষ ও ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। যদি স্কটল্যান্ডের সংসদ অনুমতি দেয় তাহলে স্কটিশদের স্বাধীনতার জন্য এটা হবে দ্বিতীয় গণভোট। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই গণভোটে মানুষ স্কটিশদের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

স্টার্জিওন যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে সেকশন ৩০ এর আদেশের অনুমতি চাইবেন স্কটিশ সংসদের কাছে। এটা ছাড়া গণভোট আয়োজন করা সম্ভব না। আগামী সপ্তাহে এই অনুমোদন চাইবেন বলে জানিয়েছেন স্টার্জিওন।

যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে সোমবার যখন আর্টিকেল ৫০ অনুসরণবিষয়ক ব্রেক্সিট বিল নিয়ে এমপিরা বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন তখনই স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলেছেন স্টার্জিওন।

এদিকে, আর্টিকেল ৫০ অনুসরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যার ফলে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অব উইথড্রয়াল) বিলে চূড়ান্ত ভোট হওয়ার পর এ প্রক্রিয়া অনুসরণ শুরু করবেন থেরেসা মে।

স্টার্জিওন মনে করেন, এবারের গণভোটে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষেই জনগণ রায় দেবেন। তার এ আস্থার কারণ ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন এবং জোর করে স্কটল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এককবাজার ত্যাগে বাধ্য করার প্রভাব।

স্টার্জিওন বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থে ও নিষ্ঠার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা এমন কোনও সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করিনি যারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। তারা কথায় সমঝোতা থেকে অনেক দূরে চলে যাওয়াতে বিষয়টি কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠছে।’

হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট বিল নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক শুরুর আগে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের ৩৫জন প্রধান এক চিঠিতে ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয়ানদের নাগরিকত্ব বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

/এএ/