চীনের আধুনিকায়নে পুরস্কৃত বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ অধ্যাপক

চীনের আধুনিকায়নে অবদান রাখায় মর্যাদাপূর্ণ দুটি চীনা পদক পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ অ্যাকাডেমিক লর্ড কুমার ভট্টাচার্য্য। পদক দুটির মধ্যে রয়েছে বেইজিং শহরের ‘দ্য গ্রেট ওয়াল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিদেশিদের জন্য চীনের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘চাইনিজ গভর্নমেন্ট ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’।

অধ্যাপক লর্ড কুমার ভট্টাচার্য্য

কভেন্ট্রিতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের ওয়ারউইক ম্যানুফেকচারিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কুমার ভট্টাচার্য্য।
চীনা পদক পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক বলেন, মর্যাদাপূর্ণ দুটি পদক পাওয়ায় আমি অবাক হয়েছি তবে সম্মানীতবোধ করছি। রাজধানী বেইজিংয়ের দেওয়া সম্মাননা প্রমাণ করে তারা শহরটির জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাজকে স্বাগত জানায়।

কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, আমার জীবনের ৩০টি বছর  চীনের উদ্ভাবনী যুগের অংশ ছিল। চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের প্রথম যৌথ কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। আমরা প্রায় ৩ হাজার চীনা প্রকৌশলীকে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করেছি। চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধশালী হওয়ার মূল কেন্দ্রে আমরা উদ্ভাবনকে রাখার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছি।

বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ডটি সর্বোচ্চ সম্মাননা। গত সপ্তাহে তিয়ানামেন স্কয়ারে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ দেশটির ভাইস প্রিমিয়ার মা কাই এক অনুষ্ঠানে পদকটি তুলে দেন অধ্যাপক কুমারের হাতে।

অধ্যাপক কুমার দেশটির স্টেট কাউন্সিলের প্রধান লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। চীনের ৬৮তম জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।