অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে ২ সপ্তাহ সময় দিলো ব্রিটিশ পুলিশ

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে ওয়েলস ও ইংল্যান্ডের পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলে কাউকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ব্যালিস্টিক ইনটেলিজেন্স সার্ভিস (এনএবিআইএস) এই অস্ত্র জমা দেওয়ার কর্মসূচি সমন্বয় করছে। ১৩ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেওয়া যাবে।

Firearms_Surrender

এনএবিআইএস জানায়, অজ্ঞতার কারণে অনেকের কাছে অবৈধভাবে অস্ত্র রয়েছে। সংস্থার প্রধান জো চিল্টন জানান, অস্ত্র জমা দেওয়ার ফলে তা অপরাধে কাজে লাগানোর ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

এই সময়ের মধ্যে যে কেউ অস্ত্র জমা দিলে কোনও মামলার মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু পরে যদি কোনও অপরাধের সঙ্গে এসব অস্ত্রের সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে ওই অস্ত্রের মালিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ন্যাশনাল পুলিশ চিফ কাউন্সিলের হেলেন ম্যাকমিলান বলেন, অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় কাউকে নাম বা ঠিকানা দিতে হবে না। ঝুঁকি এড়াতে আমরা অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, হতে পারে তা একটি পিস্তল কিংবা অন্য কোনও অস্ত্র। ১০১ নম্বরে ফোন করে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে অস্ত্র জমা দিতে পারে। যে কয়টি আগ্নেয়াস্ত্র আমরা উদ্ধার করব তাতে করে জীবন বাঁচানোর সুযোগ তৈরি হবে। ফলে সঠিক কাজ করুন, আপনাদের অবৈধ অস্ত্র জমা দিন।

যেসব অস্ত্র এই সময়ে জমা দেওয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ার গান, রাইফেল, শটগান ও পিস্তল। এই অস্ত্র জমা দেওয়া সপ্তাহের লক্ষ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনাবশত যেসব মানুষের অস্ত্র রয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা।

এর আগে ২০১৪ সালেও এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ওয়েলস ও ইংল্যান্ডে। ওই সময় প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র জমা পড়েছিল।

অস্ত্র জমা দেওয়া সপ্তাহ সফল করতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা জিম স্টকলি জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে। যদি এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধ ঘটানোর প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট অপরাধের সংখ্যা ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।