অঙ্গ দানে উদ্বুদ্ধ করতে যুক্তরাজ্যে সরকারি প্রচারণা

এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে অঙ্গ দানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছর যত অঙ্গ দানের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে মাত্র সাত শতাংশ এসেছে এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্য থেকে। দেশটির ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেসের’ (এনএইচএস) ‘অর্গান ডোনেশন রেজিস্টারের’ কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, এসব অঙ্গ দানের ঘটনায় বাংলাদেশিদের অবদান মাত্র ০.১ শতাংশ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে অঙ্গ দানের জন্য নথিভুক্তদের ২১ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছেন। গত বছর এই হার ছিল ১৫ শতাংশ। মূলত পরিবারের সদস্যদের আপত্তিই অঙ্গ দানের ক্ষেত্রে এশীয়দের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা।donor_2380935b

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যাকি ডয়েল প্রাইস বলেছেন, ‘সরকার, সংসদ সদস্য, ধর্মীয় নেতা, দাতব্য সংস্থা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি এবং পরিবারের সদস্যসহ সবারই কিছু না কিছু ভূমিকা রাখা দরকার অঙ্গ দানের বিষয়ে, যাতে করে এ বিষয়ে কুসংস্কার দূর করা যায় এবং প্রাণ বাঁচাতে ভূমিকা রাখা প্রক্রিয়াটিকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়।’
এশীয়দের অঙ্গ দানে উৎসাহিত করতে ‘এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ ‘ন্যাশনাল বিএএমই ট্রান্সপ্ল্যান্ট অ্যালায়েন্সের’ (এনবিটিএ) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালাচ্ছে।

‘এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্টের’ অ্যান্থনি ক্লার্কসন বলেছেন, ‘একদিকে আমরা চেষ্টা করছি যেন বেশি বেশি কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অঙ্গ দানে উৎসাহী হয়। অন্যদিকে বাস্তবতা হচ্ছে, এতে সফলতার হার খুব কম। ফলে বহু মানুষ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। ’

‘অনেক কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রোগী শ্বেতাঙ্গদের দান করা অঙ্গ পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু অঙ্গের প্রাপ্যতা যদি এত কম হয় তাহলে তাদের সম্প্রদায়েরও বহু মানুষ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গের অভাবে মৃত্যুবরণ করবেন।’