ব্রেক্সিটের প্রভাব নিরূপণ ও প্রস্তুতিতে টাওয়ার হ্যামলেটসে কমিশন গঠন

টাওয়ার হ্যামলেটসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার প্রভাব নিরূপণ ও প্রস্তুতি গ্রহণে স্থানীয় কাউন্সিল একটি ব্রেক্সিট কমিশন গঠন করেছে। ২৫ জুলাই বুধবার অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের কেবিনেট মিটিংয়ে ব্রেক্সিট কমিশন গঠনের কথা জানান নির্বাহী মেয়র জন বিগস।

টাওয়ার হ্যাম‌লেট‌সের মেয়র জন বিগস

কমিশন গঠন প্রসঙ্গে মেয়র জন বিগস বলেন,  অর্থনীতি, নাগরিক সমাজ ও পাবলিক সার্ভিস খাতে যারা বিশেষজ্ঞ, তাদেরকে একত্রিত করার পাশাপাশি এই কমিশন বারার বাসিন্দাদের উদ্বেগ ও মতামত শুনবে। কমিশন টাওয়ার হ্যামলেটসে ব্রেক্সিট কেমন প্রভাব ফেলবে তা পরীক্ষা করে দেখবে এবং কিভাবে আমরা আমাদের কমিউনিটিকে সাহায্য করতে পারি, তা নির্ধারণ করবে।

এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কেবিনেট মেম্বার ফর কালচার, আর্টস অ্যান্ড ব্রেক্সিট, কাউন্সিলর আমিনা আলী। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর আলী বলেন, আমাদের এখানে বসবাসকারী হাজার হাজার ইইউ নাগরিক আমাদের কাছ থেকে পূর্ণ ভরসা পাওয়ার দাবি রাখেন। এছাড়া অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নে আমাদের সাহায্য দরকার। তাই ব্রেক্সিট কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিতে আমি আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি।

৬ জন স্বতন্ত্র কমিশনার ছাড়াও এই কমিশনে কাউন্সিলর মোহাম্মদ পাপ্পুও দায়িত্ব পালন করবেন। বিভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয় পদে দায়িত্বরতদের মধ্য থেকে ৬ জন কমিশনার নিয়োগ করা হবে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে শুনানির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের অভিমত সংগ্রহ করা হবে।

 

টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের প্রতি ৭ জনের মধ্যে এক জন, অর্থাৎ প্রায় ৪১ হাজার লোক এসেছেন ২৭টি ইউরোপীয় দেশ থেকে। এখানে অবস্থিত বেশিরভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন রয়েছে। শুধু ক্যানরি ওয়ার্ফে অবস্থিত ৩৭টি অফিস বিল্ডিংয়ে প্রতি দিন ১২ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করে থাকেন। এখানে রয়েছে ৩০০ দোকান, ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট।

 

বারায় অবস্থিত ১৬ হাজার ৮০০ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশই হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিটের কারণে অর্থনীতি, আবাসন, প্রশাসনিক সেবাখাত, পণ্য ও সেবা সরবরাহ, হসপিটালিটি, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে চাপ পড়তে পারে। কারণ এসব খাত অনেককাংশেই ইইউভুক্ত দেশগুলোর কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল।