অ্যাসাঞ্জ ঘনিষ্ঠ অভিযোগে দূতাবাসের কর্মকর্তাকে সরালো ইকুয়েডর

বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগে লন্ডন দূতাবাস থেকে এক কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে ইকুয়েডর। সোমবার মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ খবর জানিয়েছে। লন্ডন দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার নিয়ে সৃষ্ট চলমান পরিস্থিতিতে এই কর্মকর্তাকে সরানো হলো।

WireAP_0234853683dd479bb91aa7a94e9d3fb0_16x9_992

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৮ সালের জুনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুরক্ষার অবসান ঘটাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। উইকিলিকসও একইরকমের অভিযোগ করে আসছে।

ইকুয়েডর তাদের লন্ডন দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে; উইকিলিকসের টুইটারে এমন আশঙ্কা প্রকাশের পর শুক্রবার থেকেই দূতাবাসের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। অ্যাসাঞ্জকে বহিষ্কারের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা ত্যাগ করতে নারাজ। তবে ইকুয়েডর এক বিবৃতিতে উইকিলিকসের এই দাবিকে ফেক নিউজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে সরকার অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়া হবে না এমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।

ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ভ্যালেন্সিয়া জানান, সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তবে তিনি ওই কর্মকর্তার নাম বা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। শুধু বলেছেন, দূতাবাসের কর্মীদের সবার আগে ইকুয়েডর রাষ্ট্রের কথা মেনে চলতে হবে অবশ্যই।

সম্প্রতি ইকুয়েডর অভিযোগ করেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর ব্যক্তিগত নথি ফাঁস ও ছড়িয়ে দিচ্ছে উইকিলকস।