ব্রেক্সিট ইস্যুতে মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভাই

ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর এবার পারিবারিক সংকটেও পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার তার ছোট ভাই জো জনসন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। জো বলেছেন, পারিবারিক আনুগত্য ও জাতীয় স্বার্থের সংঘাতের কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

 

_108624940_e074632c-24af-4f59-a474-53606b340c76


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওরপিংটন থেকে নির্বাচিত টরি এমপি ‘অসমাধিত উত্তেজনার’ কথা বলেছেন।
২০১৬ সালে ইইউ গণভোটে জো জনসন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভাই ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। গতবছর সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছিলেন জো। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তার ভাইকে দলীয় নেতা নির্বাচিত করার পর তিনি পুনরায় সরকারে যোগ দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, জো জনসনের সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি একটি অসাধারণ ও মেধাবী মন্ত্রী ছিলেন এবং একজন দারুণ সংসদ সদস্য।
মুখপাত্র আরও বলেন, রাজনীতিক ও ভাই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানেন জো জনসনের বিষয়টি খুব সহজ ছিল না। ওরপিংটন সংসদীয় আসনে তার চেয়ে ভালো কোনও প্রতিনিধি হতে পারে না।
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে বরিসের অনেক প্রচারণায় স্বশরীরে হাজির ছিলেন জো। ২০১৩ সালে বরিস জানিয়েছিলেন, জো একসময় প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। মঙ্গলবার জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাস হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
সংসদ সদস্যরা 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাবার বিষয়টি আটকে দিয়ে একটি বিল পাস করেছেন সংসদে। এই বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি।