কমনওয়েলথ কানেক্টিভিটি এজেন্ডায় সুফল পাবেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে একটি নতুন কানেক্টিভিটি এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই এজেন্ডার লক্ষ্য হলো  বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অনুশীলন ও শিক্ষার সেরা উপায়ের বিনিময় এবং টেকসই উন্নয়ন। সম্প্রতি লন্ডনে এক বৈঠকে এই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এই কানেক্টিভিটি এজেন্ডায় সুফল পাবেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

Commonwealth_Flags

কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বলেন, কমনওয়েলথ কানেক্টিভিটি এজেন্ডা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে। এর মধ্য দিয়ে তারা বৈশ্বিক বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও বিশ্বের বাণিজ্য থেকে সুফল পাবে। এই উপায়ে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রস্তাব দারিদ্র্য দূরীকরণ ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করবে।

কানেক্টিভিটি এজেন্ডার আওতায় কয়েকটি দেশকে একটি সুনির্দিষ্ট গ্রুপে রাখা হবে। যাতে করে ওইসব দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। যেমন, বাণিজ্যের জন্য সমন্বয়ের অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সরাসরি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

প্যাট্রিসিয়া আরও বলেন, বহুমাত্রিক বাণিজ্য ব্যবস্থাই হলো আমাদের দেশগুলোর জন্য এগিয়ে যাওয়ার উপায়। কারণ এই ব্যবস্থা যেমন বৈচিত্র্যময় তেমনি এই বাণিজ্য অনুমানযোগ্য, স্থিতিশীল, স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু পরিবেশের হয়। বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা হয়ত এখনও নিখুঁত নয়, কিন্তু এটাই দারিদ্র্য দূরীকরণের নিশ্চিত উপায়।

বাংলাদেশ ছাড়াও এই কানেক্টিভিটি গ্রুপে রয়েছে গাম্বিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, বার্বাডোজ ও বানাউতু।

এই সপ্তাহ অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও সুযোগ সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে বাণিজ্যের। চরম দারিদ্রতা ও অনিরাপত্তা দূর করতে এটি আবশ্যক উপায়। বৈচিত্র্যময় কমনওয়েলথ কমিউনিটির মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় আমাদের দেশগুলোর সফলভাবে বাণিজ্য করতে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করতে সহযোগিতা করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত আসন্ন কমনওয়েলথ রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে তুলে ধরা হবে। আগামী বছর জুনে রোয়ান্ডাতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং কানেক্টিভিটি এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।