যুক্তরাজ্যে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আসছে

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ব্রিটেনের সরকার আগামী সপ্তাহে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে। ভাইরাসটি মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

download

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে শুক্রবার পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু ও ৭৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার বিরোধিতা করে আসছেন।

সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার সঙ্গে মন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে জনসমাগমসহ বিভিন্ন ধরনের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।

শুক্রবার ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের সব খেলা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আয়োজকরা লন্ডন ম্যারাথনও স্থগিত করেছেন।

ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ (৯৩) আগামী সপ্তাহে জন সম্পৃক্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন বলে শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনসনও মে অনুষ্ঠিতব্য স্থানীয় ও মেয়র নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিতের ঘোষণা করেছেন।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সরকার যাতে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে এজন্য সংশ্লিষ্ট আইন আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞাসহ ও আয়োজকদের ক্ষতিপূরণের বিষয় থাকবে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার ফলে গ্লাস্টনবারি সংগীত উৎসব, উইম্বলডন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ ও গ্র্যান্ড ন্যাশনাল ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রভাব পড়তে পারে।

শুক্রবার স্কটল্যান্ড জানিয়েছে, ৫০০ জনের বেশি মানুষের বড় জনসমাগম করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে বাতিল করা হয়েছে।