যুক্তরাজ্যে করোনার আরও মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের আরও মারাত্মক একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ব্রিস্টল ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাসটি নিয়ে এরইমধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ব্রিটিশ সরকারের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিজ (এসএজিই)-এর একজন সদস্য অধ্যাপক জন অ্যাডমান্ডস। তিনি বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি যারা এরইমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিংবা এর টিকা নিয়েছে তাদেরও মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে।

তিনি বলেন, ব্রিস্টলের ভাইরাসটি কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এটিকে আমার কাছে কেন্টের চেয়ে বেশি সংক্রমণ ক্ষমতার বলে মনে হয় না। পূর্বে করোনায় আক্রান্ত কিংবা ভ্যাকসিন নেওয়া লোকজনেরও এটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টিই এখানে উদ্বেগজনক।

এর আগে বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানান, ব্রিস্টল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টারে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের কেন্ট ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বজুড়ে জেঁকে বসতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ শ্যারন পিকক। কোভিড-১৯ জিনোমিকস ইউকে কনসোর্টিয়াম-এর এই পরিচালক মনে করেন, কেন্টের ভ্যারিয়েন্ট এরইমধ্যে গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

বিশ্বে করোনাভাইরাস জনিত মহামারির মধ্যেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্টে ভাইরাসটির নতুন একটি স্ট্রেইন শনাক্ত হয় যা অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। কেন্টে শনাক্ত হওয়া এ ভ্যারিয়েন্টটি ক্রমাগত অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়াতে শুরু করে এবং এরইমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে।

বিবিসির নিউজকাস্ট পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্যারন পিকক বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টটি দিয়ে ‘দেশ ছেয়ে গেছে।’ যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তার ভিত্তিতে বলা যায় এখন এটি ‘বিশ্বকে ছেয়ে ফেলতে যাচ্ছে।’

অধ্যাপক পিকক বলেন, ‘এ মুহূর্তে যে জিনিসটি আমাদের ভাবাচ্ছে তাহলো সংক্রমণ ক্ষমতা। আমরা যদি একবার ভাইরাসটির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারি এবং রূপান্তরিত হয়ে এটি যদি রোগাক্রান্ত করার ক্ষমতা না রাখে তবেই আমাদের উদ্বেগের সমাপ্তি ঘটবে। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমি বুঝতে পারছি যে এ কাজ করতে আমাদের কয়েক বছর লেগে যাবে। আমার মতে, ১০ বছর তো লাগবেই।’