আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন ব্রিটিশ রাজবধূ মেগান মার্কেল

ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারে যুক্ত হওয়ার পর আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন। রবিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরে বর্ণবাদের অভিযোগ তোলেন। মেগানের অভিযোগ মানসিক সংকটের সময় তাকে সাহায্য করতেও অস্বীকৃতি জানানো হয়, মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয় এমনকি তার অনাগত সন্তানের ত্বকের রং নিয়েও রাজপরিবারে উদ্বেগ ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল রবিবার সিবিএস টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে হাজির হন। অপরা উইনফ্রে’র সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজপরিবারের স্ত্রী হিসেবে নিজের নানা অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধির কথা তুলে ধরেন।

শ্বেতাঙ্গ বাবা আর কৃষ্ণাঙ্গ মায়ের সন্তান মেগান মার্কেল ওই সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উত্থাপন করেন। নিজে গর্ভবতী থাকার সময়ে ট্যাবলয়েড আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আলাপচারিতা নিয়ে নিজের ওপর প্রভাব সম্পর্কে মেগান বলেন, ‘আমার শুধু মনে হয়েছিল আর বাঁচতে চাই না। আর সেটা খুব স্পষ্ট ও বাস্তব এবং ভীতিকর চিন্তা ছিলো।’ আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেগান বলেন, ‘হ্যাঁ। সেটা খুব স্পষ্ট চিন্তা ছিলো।’

৩৯ বছর বয়সী মেগান মার্কেল বলেন তার সন্তান আর্চির ত্বকের রং কতটা কালো হবে তা নিয়েও রাজপরিবারে উদ্বেগ ছিলো। রাজ পরিবারের কারা এই ধরনের উদ্বেগের কথা বলেছিল, তা প্রকাশ করতে চাননি মেগান। 

মেগান বলেন, ‘আমার অন্তঃস্বত্ত্বার কয়েক মাসে ঘুরে ফিরে কয়েকটি কথায় আসতো- তুমি নিরাপত্তা পাবে না, কোনো খেতাবও পাবে না’। আর যখন ওর জন্ম হবে, ওর গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে সেসব নিয়ে তাদের আলাপ আর উদ্বেগও তো ছিলই।’