যে কারণে রানি এলিজাবেথের জন্মদিন দুইটা

জন্মদিন কার না পছন্দ! কেক, উপহার এবং কাছের ও প্রিয় মানুষদের সঙ্গে উদযাপন। কিন্তু অনেক সময় কর্মব্যস্ততার জন্য আয়োজনের সব কিছু সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময়েই আফসোস হতে পারে, যদি দুইটা জন্মদিন থাকত!

এই আফসোস নেই ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের। তার রয়েছে দুইটি জন্মদিন- একটি প্রকৃত এবং অপরটি সরকারি।

রানি এলিজাবেথের জন্ম হয়েছিল ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল। কিন্তু তার রাজকীয় জন্মদিন জুনের প্রথম বা দ্বিতীয় শনিবার।

ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহনকারীদের দ্বিতীয় জন্মদিনের প্রচলন শুরু হয় ২৫০ বছর আগে। এখনও তা প্রচলিত রয়েছে।

১৭৪৮ সাল থেকে রাজা ও রানিরা তাদের বিশেষ দিন উদযাপন করেছেন বর্ণিল প্যারেডের (ট্রুপিং অব দ্য কালার প্যারেড) মাধ্যমে। কিন্তু ১৯০১ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত সিংহাসনে থাকা এডওয়ার্ড সপ্তম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন নভেম্বর মাসে। ব্রিটেনের আবহাওয়ার কারণে সময়টি বাইরে বড় ধরনের উদযাপনের উপযুক্ত নয়। তাই প্যারেডটি মে বা জুনে নিয়ে আসা হয়। এ সময়টিতে শীত বা প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্ভাবনা কম।

পরবর্তী রাজা জর্জ পঞ্চমের জন্মদিন ছিল জুন মাসেই। কিন্তু রানির বাবা জর্জ ষষ্ঠের জন্মদিন ছিল ডিসেম্বরে। তখন আবার সরকারি জন্মদিনের প্রচলন শুরু হয়। রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় সেই ধারা বজায় রেখে চলেছেন।

রানির সরকারি জন্মদিন নির্দিষ্ট কোনও তারিখে ধার্য করা হয়নি। এর বদলে জুনের দ্বিতীয় শনিবার তা পালন করা হয়।

জর্জ ষষ্ঠ জুনের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার সরকারি জন্মদিন পালন করতেন। কিন্তু রানি সুবিধার্থে দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিয়ে আসেন।

কিন্তু প্রিন্স উইলিয়াম যদি ভবিষ্যতে সিংহাসনে আরোহন করলে দুটি জন্মদিন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ জর্জ পঞ্চমের মতো তার জন্মদিনও জুন মাসে। যখন উদযাপন করার রোদেলা আবহাওয়া থাকে। সিংহাসনের উত্তরাধীকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিন্স জর্জের জন্মও গ্রীষ্মকালে। ফলে রানি এলিজাবেথের পর কয়েক দশক এই ঐতিহ্য হয়ত আড়ালে পড়ে যাবে।

অবশ্য তারা চাইলেই দ্বিতীয় জন্মদিনের প্রথা চালু করতে পারেন। কী ঘটবে তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: ডেইলি মিরর