বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, 'অ্যাডুকেট অ্যাগেইনস্ট হেট' অর্থাৎ ঘৃণার বিরুদ্ধে শিক্ষা নামে এই সাইট চালুর ঘোষণা আসবে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন এলাকার একটি স্কুল থেকে।
বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামে এই স্কুল থেকেই গত বছর তিনজন মুসলিম শিক্ষার্থী সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিতে পালিয়ে যায়। ওই তিন কিশোরীর দুজনই ছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী সিকি মর্গান বিবিসিকে বলেন, ‘চরমপন্থী মনোভাব যাতে নিরপরাধ মনকে কলুষিত করতে না পারে- সে লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
মর্গান আরও বলেন, ‘সরকার স্কুলে বিতর্ক নিষিদ্ধ করছে না অথবা কিশোর-তরুণদের সুতো দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলছে না। কিন্তু যারা স্কুল-কলেজের ক্যাম্পাসে কট্টরপন্থার আদর্শ ছড়ায়, তাদের ঠেকাতেই হবে।’
স্কুল-কলেজে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা- বিবিসির এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী নিকি মর্গান বলেন, ‘কে কি পরবে, তা নিয়ে সরকার মাথা ঘামাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার।’
তবে মন্ত্রী জানান, যথাযথ অনুমোদন ছাড়া ধর্ম শিক্ষার কোনও প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না।
ব্রিটেনের শিশুদের সুরক্ষার নিয়োজিত শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এনএসপিসিসি'র কর্মকর্তা পিটার ওয়ানলেস জানান, প্রতিদিন অনেক উদ্বিগ্ন বাবা-বা এবং এমনকি শিশুরাও কট্টরপন্থার হুমকি নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
ব্রিটেন থেকে কয়েকশ মুসলিম তরুণ-তরুণী তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় গেছে বলে আশঙ্কা করা হয়।
/এএ/