কপ২৬: ধরিত্রীর সুরক্ষায় বসছেন বিশ্ব নেতারা

ধরিত্রীর সুরক্ষায় করণীয় নিয়ে আজ রবিবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বসছে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। ২০৩০ সালের মধ্যে কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা যায় এমন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বের দুইশ’ দেশের প্রতিনিধি গ্লাসগোতে জড়ো হচ্ছেন। বিশ্বকে সুরক্ষায় এই সম্মেলনের সাফল্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা কতটা কাজ করবে।

কয়েকটি দেশর রাষ্ট্রপ্রধান বর্তমানে রোমে রয়েছেন। জি-২০ সম্মেলন শেষ করে রবিবার সন্ধ্যায় ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন তারা। সম্মেলনের প্রথমদিন বক্তব্য রাখবেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদ। জলবায়ুর পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে মালদ্বীপের নিম্নাঞ্চলীয় দ্বীপগুলো চরম হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিতে চলতে থাকলে মালদ্বীপ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংকট উত্তরণে বিষয়টি তুলে ধরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহিদ।

বন্যা, খরা ও দাবানলের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। অথচ এই দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক কম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদেরই সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে। ফলে গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে কম ধনী এবং ছোট দেশগুলোর চাহিদার বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, তিনি ধারণা করছেন গ্লাসগোতে জাতিসংঘের কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ১০-এর মধ্যে ৬ ভাগ। গ্লাসগোতে শুরু হতে যাওয়া ওই সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্বনেতারা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বৈশ্বিক সভ্যতার দ্রুত পতন ঘটবে।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ভব্যিষতের কথা ভেবে বিশ্ব নেতারা এই সম্মেলনে কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেবেন তা এখন দেখার বিষয়।