করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ভয়াবহ’: ব্রিটিশ মেডিক্যাল উপদেষ্টা

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ মেডিক্যাল উপদেষ্টা ড. সুসান হপকিন্স সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে ভয়াবহ। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯।

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকংয়ে মোট ৫৯ জন নুতন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন বাস্তবে এটি আরও ছড়িয়ে গেছে।

বিবিসি রেডিও ফোর’কে হপকিন্স বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন দৈনিক খুব অল্প পরিমাণে আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে মহামারিগত চিত্র দ্বিগুণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা বলছে সংক্রমণের হার আর ভ্যালু এখন ২। এটি অনেক বেশি। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এমন সংক্রমণ আমরা দেখিনি। সংক্রমণের হার যদি বেশি থাকে তাহলে সমস্যা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের ‘মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক’ এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি ‘অনেক ভিন্ন’।

তার কথায়, ‘এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসেবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।’

এর আগেও করোনাভাইরাসের নতুন শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।   বছরের শুরুতে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছিল বেটা ভ্যারিয়েন্ট। কারণ ইমিউন সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছিল ওই ভ্যারিয়েন্টের। কিন্তু পরে দ্রুত সংক্রমিত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই বেশি ভয়াবহ হিসেবে দেখা দেয়।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাভি গুপ্তা বলেন, বেটা শুধু ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিতো, আর কিছু না। ডেল্টার সংক্রমণের ক্ষমতা ছিল বেশি। নতুন ভ্যারিয়ন্টের এই দুই ধরণের ক্ষতি করারই সামর্থ্য রয়েছে।