প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের আগে ডাউনিং স্ট্রিটে মদ্যপানের পার্টি

বিতর্ক যেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিছু ছাড়ছে না। করোনা লকডাউনের মধ্যে পার্টিতে উপস্থিত হওয়া নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পর তার পদত্যাগের এমনিতেই জোরালো হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা আগুনে ঘি ঢালার মতো।

ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ যখন স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকাহত এবং ঘরে মিলিত হওয়া নিষিদ্ধ ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী জনসনের কার্যালয়ের কর্মীরা মদ্যপানের পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, ১৬ এপ্রিল ডাউনিং স্ট্রিটে আরও দুটি মদ্যপানের পার্টি আয়োজন করা হয়। ওই সময় ঘরে ও বাইরে মানুষের মিলিত হওয়া ছিল সীমিত। এই দুটি পার্টির সময় জনসন কার্যালয়ে ছিলেন না।

পত্রিকাটি লিখেছে, ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা কাছের একটি সুপারমার্কেট থেকে এক কেস মদ কিনে আনেন। তারা গান বাজাতে একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট ছেলের ব্যবহৃত একটি দোলনা ভেঙে ফেলা হয়।

এই পার্টির পরদিন ছিল রানি এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানে কালো পোশাক ও কালো মাস্ক পরে ৯৫ বছর বয়সী এলিজাবেথ উপস্থিত হন। কঠোর করোনাবিধির কারণে একাই বসেছিলেন তিনি।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে জারি করা লকডাউনের সময় একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়ে দায়িত্ব পালনকালে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে পড়েছেন জনসন। এমন সময়ে এসব ঘটেছে যখন সাধারণ মানুষ মৃত্যুর পথযাত্রী আত্মীয়দের শেষ বিদায় জানাতে পারেননি।

এসব ঘটনায় নিজ দলের পক্ষ থেকেও পদত্যাগের চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: রয়টার্স