লকডাউনে জন্মদিনের পার্টিও করেছিলেন জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে আগেই করোনাবিধি ভেঙে পার্টি করার অভিযোগ উঠেছে। সেটা ছিল অফিস পার্টি। সেই অভিযোগ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে তদন্তও চলছে। এরমধ্যেই করোনাকালে নিজের জন্মদিনের পার্টি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

লকডাউনে সব ধরনের পার্টি করা যখন নিষিদ্ধ ছিল, তখন ২০২০ সালের জুন মাসে জনসন জন্মদিনের পার্টি করেন। এই পার্টির খবর ফাঁস করেছে সংবাদমাধ্যম আইটিভি।

জনসন তখনো ক্যারি সাইমন্ডসকে বিয়ে করেননি। ক্যারিই ১৯ জুন জনসনের ৫৬তম জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করেন। ৩০ জন আমন্ত্রিত অতিথি সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।

পার্টি আধাঘণ্টা ধরে চলেছিল বলে অভিযোগ। জনসনের জন্য ক্যারি একটা কেক এনেছিলেন। উপস্থিত সবাই হ্যাপি বার্থডে গান করেন। সে সময় মাত্র ছয় জন একসঙ্গে সমবেত হতে পারতেন। ঘরের ভেতরে জমায়েত পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল।

ডাউনিং স্ট্রিটের দাবি, একটা বৈঠকের পর কর্মীরা সামান্য সময়ের জন্য সমবেত হয়েছিলেন। জনসন সেখানে মিনিট দশেক ছিলেন। তিনি সন্ধ্যায় আরেকটি পার্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার অফিস। বলা হয়েছে, তিনি দফায় দফায় পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অফিস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে একদল কর্মী সামান্য সময়ের জন্য কেবিনেট রুমে মিলিত হন। তারা প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। জনসন সেখানে ১০ মিনটেরও কম সময় ছিলেন।

লকডাউনে পার্টি করা নিয়ে এটা হলো জনসনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ। দুই সপ্তাহ আগে তিনি 'নিজের মদ নিজে আনো' পার্টির জন্য পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০২০ সালের ২০ মে ওই পার্টি হয়েছিল। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি ভেবেছিলেন ওই পার্টি আসলে তার কাজের অংশ।

পরে জানা যায়, রানী এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগেও ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা দুইটি আলাদা পার্টি করেছিলেন। জনসন যখন দেশের নেতা হিসেবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখনই এই পার্টিগেটের অভিযোগ এলো। সূত্র: ডিডাব্লিউ।