সমর্থন হারালেও লড়াই জারি রাখার প্রতিশ্রুতি বরিস জনসনের

দিনভর নাটকীয় পদত্যাগে সমর্থন হারালেও দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে টিকে থাকতে লড়াই জারি রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অনেক অনুগত সমর্থক এখন তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছেন। প্রীতি প্যাটেল গ্রান্ট শ্যাপসের মতো সমর্থকেরা বুধবার তাকে এই আহ্বান জানিয়েছেন।

সবশেষ ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন ওয়েলস সেক্রেটারি সিমন হার্ট। এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্রেভারম্যান নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন ভোটারদের কাছ থেকে তার ‘চালিয়ে যাওয়ার বিপুল সমর্থন’ রয়েছে।

সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্য মাইকেল গোভকে বরখাস্ত করেছেন। ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র তাকে ‘সাপ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে তিনি ‘আনন্দের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কথা বলে নেতাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন’।

ব্রেক্সিট প্রচারণায় বরিস জনসনের মিত্র ছিলেন মাইকেল গোভ। দিনের আরও আগের দিকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৪০ জন মন্ত্রী ও সহযোগী পদত্যাগ করেন। এমনকি মধ্যরাতেও পদত্যাগ চলতে থাকে। ওয়েলস সেক্রেটারি সিমন হার্ট ব্রিটিশ মান সময় রাত ১১টার কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেন।

তবে মন্ত্রিসভায় এখনও কিছু বরিস জনসন সমর্থক রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাদিন ডোরিস, ব্রেক্সিট সুবিধা মন্ত্রী জ্যাকব রিস-মোগ জনসনের অনুগত রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের টিকে থাকার ন্যায্যতা রয়েছে দাবি করে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি বলেছেন, কাজ চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের সমর্থন রয়েছে। দল যদি তাকে থামাতে চায় তাহলে এই সমর্থন কেড়ে নিতে হবে’।

এর আগে বুধবার লিয়াজো কমিটির সামনে উপস্থিত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারের সিদ্ধান্ত ও নীতি তদারককারী আইনপ্রণেতাদের এই কমিটি আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেন জনসন। তিনি বলেন, সবচেয়ে সম্ভাব্য যে তারিখ দেখা যাচ্ছে তা ২০২৫ সালের।

গত মাসে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে টিকে যান বরিস জনসন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১২ মাসের মধ্যে তাকে আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না।

সূত্র: বিবিসি