‘শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব লাভ করতো’

‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে ১৯ অক্টোবর বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠান আয়োজন করে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক, নির্মল দুর্জয়’।

স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সঙ্গে শিশু রাসেলের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ আজ আরেকজন দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব লাভ করতো।’

গওহর রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ রাসেলের স্মৃতি ধারণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে।’

গওহর রিজভী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই স্মারক অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। বঙ্গবন্ধু ও শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘দশ বছর বয়সী শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে নিপীড়িত শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিহত শিশুদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান হাইকমিশনার। তিনি শিশুদের নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বব্যাপী শিশু-কিশোর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন সাইদা মুনা তাসনিম।

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম

শিশু রাসেলের জীবন বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে ২০২২ সাল থেকে প্রতি বছর তার জন্মদিনটিকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি পালন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শেখ রাসেল মতো পরিকল্পিত শিশু হত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হাসান এমবিই, শেখ রাসেল মেমোরিয়েল অ্যাসোসিয়েশন, ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আবদুল আহাদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার আগত অতিথি ও হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্যদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।