উইমেন’স ইক্যুয়ালিটি পার্টি এ উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি নারীদের আহ্বান জানিয়েছে, শিস দেওয়া থেকে শুরু গায়ে হাত দেওয়া, হামলা ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার পোস্ট কোড নিজেদের হাতে লিখে ছবি তুলে #WECount হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রকাশ করার জন্য। এরপর তারিখ ও সময়সহ যৌন হয়রানির ঘটনার লাইভ ম্যাপ চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
দলটির আশা, এর মাধ্যমে লন্ডনে সংঘটিত বিভিন্ন যৌন হয়রানির ঘটনার ব্যাপকতার একটা পরিষ্কার চিত্র মানুষ দেখতে পাবে। মানুষ বুঝতে পারবে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা কত নৈমিক্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর তথ্য দলটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের পক্ষে পরিচালিত অভিযানে ব্যবহার করবে। এ প্রচারণায় একটি শর্ট ফিল্মও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী পাবন আমারা তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। আমারা লন্ডনে ধর্ষণ ও যৌন হামলার শিকার হওয়া নারীদের জন্য ‘মাই বডি ব্যাক’ নামে একটি প্রকল্প পরিচালনা করছেন।
‘রেপ ক্রাইসিস’ নামে একটি সংস্থার তথ্য মতে, ওয়েলস ও যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৮৫ হাজার নারী ও ১২ হাজার পুরুষ ধর্ষণের শিকার হন। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত বছর লন্ডনে ৪ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭০ হাজার। প্রতিদিন অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আচরণের মুখোমুখি হচ্ছেন হাজার হাজার নারী।
উইমেন ইক্যুয়ালিটি পার্টির নেতা ও লন্ডনের মেয়র প্রার্থী সফি ওয়াকার জানান, প্রতিদিন লন্ডনের কয়েক হাজার নারীকে শিস থেকে শুরু গায়ে হাত দেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আচরণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে পাবান আমারা ‘মাই বডি ব্যাক’ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন এবং কিভাবে রাজধানীজুড়ে নির্যাতনের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চাই যে, প্রত্যেক নারীর ঘটনাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওই সব স্থান থেকে সবাইকে ফিরিয়ে আনব এবং রাজধানীকে নারীদের জন্য নিরাপদ শহরে পরিণত করব।’ সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
/এএ/বিএ/