ব্রিটেনে স্কুলের শিশুদের মধ্যে বিকৃত অনলাইন যৌনাচারের হিড়িক

ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে বিকৃত অনলাইন যৌনাচারের হিড়িক পড়েছে। সম্প্রতি একটি তদন্তে এ বিষয় ওঠে এসেছে। তদন্তে দেখা গেছে, কয়েক হাজার শিশু শিক্ষার্থীরা গত তিন বছরে অনলাইনে যৌনাচার সম্বলিত ছবি প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় স্কুলে বাধ্যতামূলক যৌন শিক্ষার দাবি জানিয়েছে শিশু রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো।
ব্রিটেনের পত্রিকা দ্য টাইমস এ তদন্ত পরিচালনা করে। ৫০ টি স্কুলে এ তদন্ত চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, এসব বিকৃত অনলাইন যৌনাচারে জড়িত শিশু শিক্ষার্থীদের বয়স ১২-১৩ বছর।
তদন্তে ৫০টি স্কুলে ২০১২ সাল থেকে যৌনাচারের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। এদের মধ্যে ১ হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায় যারা যৌনাচার সম্বলিত বার্তা আদান-প্রদান করেছেন অথবা মোবাইল, ওয়েবক্যাম, ওয়েবসাইটের ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি শেয়ার করেছেন। সবচেয়ে বেশি বিকৃত যৌনাচারের ঘটনা ঘটেছে ক্যামব্রিজের হান্টিংটনের হিচিংব্রুক স্কুলে। ২০১২ সাল থেকে ১১৬টি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে।
জাতীয়ভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪ হাজার ১১২ জন শিশু শিক্ষার্থী গত তিন বছরে বিভিন্ন বিকৃত যৌনাচারের সময় ধরা পড়েছে।
তদন্তে বলা হয়েছে, বাস্তবে এসব যৌনাচারের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। যেসব ঘটনা স্কুলে অভিযোগ আকারে আছে তা কেবল তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে স্কুলগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

ব্রিটেনের নারী ও সমতাবিষয়ক কমিটির প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতি সচিব মারিয়া মিলার, স্কুলে বাধ্যতামূলক যৌন শিক্ষা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে যৌন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে নেতিবাচক ধারণা ছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে এ চিন্তা পরিবর্তন করার।

শিক্ষা সচিব নিকি মরগানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, স্কুলে ১৮ বছরের কম বয়সী যে কারও যৌনাচার নিষিদ্ধ করার জন্য। তিনি বলেন, এটা শুধু স্কুলের নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয় নয়। এটা বেআইনি আচরণ। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

/এএ/