‘কান্নামিশ্রিত চোখে ডায়না আমাদের দেখছেন'

ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারির আশা তার মা প্রিন্সেস ডায়না কান্নামিশ্রিত চোখে সন্তানদের অর্জন দেখছেন। তিনি বলেছেন, আমি আশা করি তিনি কান্নামিশ্রিত চোখে বসে আছেন এবং দেখছেন আমরা যা অর্জন করেছি।

noname

সম্প্রতি গুড মর্নিং আমেরিকা নামক পত্রিকায় প্রিন্স হ্যারি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। ৩১ বছরের প্রিন্স হ্যারি ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাক্ষাৎকারে হ্যারি স্বীকার করেন, তিনি ও তার ভাই উইলিয়ামের অর্জনে যেন তাদের মা গর্বিত হোন, এটা তিনি সবসময় চেয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে হ্যারি যাতে সন্তান গ্রহণ করার জন্য ডায়না ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলনে, তার মা শিশুদের খুব আদর করতেন। তিনিও সন্তান জন্মদানে ইচ্ছুক।

হ্যারি আরও বলেন, আমরা গোপনে ও প্রকাশ্যে যা করছি তাতে তিনি গর্বিত হচ্ছেন। আমি মনে করি অল্প বয়সে মাকে হারানোতেই জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে যায় না।

দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমি। আপনার জানেন খুব আনন্দের হবে। আমার নিজের ভেতর একটা শিশু সুলভ মনোভাব রয়েছে। আমি তা ধারণ করতে চাই। শিশুদের আমি খুব পছন্দ করি। পার্টিতে শিশুরা যাই নিয়ে আসুক তা আমি উপভোগ করি। তারা যা মনে করে তা মুখে বলে। আমি করি তিনি আমার সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাতে করে তিনি আবার দাদি হতে পারেন।

মোহনীয় রূপ, ভুবনভোলানো হাসি আর মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা উজাড় করে  বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের নজর কেড়েছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। ১৯৮১ সালে ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।

noname

পরবর্তীতে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তায় স্বামীকেও ছাড়িয়ে যান তিনি। ডায়ানার রাজকীয় নিয়ম-বহির্ভূত স্বাধীনচেতা মনোভাব, বিবাহ বিচ্ছেদ ও প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে বিভিন্ন সময় তার নাম উঠে আসে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে। কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় যে এতোটুকু ভাটা পড়েনি তার প্রমাণ মিলেছিলো মৃত্যুর পর বিশ্বের লাখো মানুষের সমাগমে।

১৯৯৬ সালে ২৮শে আগস্ট চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ডায়নার। এরপর রানী এলিজাবেথ তার প্রিন্সেস উপাধি কেড়ে নেন।  ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পন্ট-দি আলমা রোডে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লেডি ডায়ানা ও তার সঙ্গী দোদি আল ফায়েদ। তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। সূত্র: মেইল অনলাইন।

/এএ/