পূর্ব লন্ডনে ছেলের হাতে বাংলাদেশি মা খুন

পূর্ব লন্ডনে ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ছেলের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন প্রায় ৫০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি মা। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতের মাধ‌্যমে কারাগা‌রে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

জানা গেছে, হত‌্যাকা‌ণ্ডের সময় বাবা ঘরের বাইরে ছিলেন। ঘ‌রে অন‌্য কেউ ছি‌লেন না।

পু‌লিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ১১টা ১ মিনিটে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে পুলিশকে মনিয়ার রোডের একটি ঠিকানায় ডাকা হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৫০ বছর বয়সী এক মহিলাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে, প‌রে তি‌নি মারা যান। 

এই ঘটনায় টাওয়ার হ্যামলেটসের ম্যালমেসবারি রোডের ২৭ বছর বয়সী লায়েক মিয়াকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে শনিবার (২৮ জুন) টেমস ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এবং কারাগা‌রে পাঠানো হয়। আগামী মঙ্গলবার (১ জুলাই) তাকে সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে।

টাওয়ার হ্যামলেটসে পুলিশিংয়ের নেতৃত্বদানকারী গোয়েন্দা সুপারিনটেনডেন্ট মাইক ক্যাগনি জানিয়েছেন, স্থানীয় সম্প্রদায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হতে পারে, তবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে এবং জনসাধারণের জন্য ব্যাপক কোনও হুমকি নেই। তিনি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন যে পুলিশ দ্রুততার সাথে ঘটনাটি পুরোপুরি বোঝার জন্য কাজ করছে এবং এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হতে পারে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ছেলে এই ঠিকানায় বসবাস করতেন না। হত্যাকারী মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা, তা জানা যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে।

কর্তৃপক্ষ এই তদন্তে সহায়ক হতে পারে এমন যেকোনও তথ্য নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তথ্য ১০১ নম্বরে কল করে, CAD9509/26JUN উল্লেখ করে অথবা স্বাধীন দাতব্য সংস্থা ক্রাইমস্টপার্সকে ০৮০০ ৫৫৫ ১১১ নম্বরে বেনামে যোগাযোগ করে দেওয়া যেতে পারে।

স্থানীয় সূত্রগু‌লো জানায়, নিহতের স্বামী স্থানীয় মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি; তিনি সব সময় সেখানেই নামাজ আদায় করেন। ঘটনার সময়ও তি‌নি মস‌জি‌দে ছি‌লেন।

বাবা মসজিদে থাকার সুযোগে ঘরে আর কেউ না থাকায় ঘাতক তার মাকে খুন করেছে, নাকি কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়।

নিহত গৃহবধূর বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পাওয়ার পর জানাজার সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হবে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য স্থানীয় কাউ‌ন্সি‌লের নিরাপদ সম্প্রদায় বিষয়ক কেবিনেট সদস্য কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হ‌লেও তা‌কে পাওয়া যায়নি।