সিআইএ-র কুখ্যাত সব জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবেন ট্রাম্প?

ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতিতে বন্দিকে জিজ্ঞাসাবাদজর্জ ডব্লিউ বুশের সময় বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচিত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ‘ওয়াটারবোর্ডিং’সহ কুখ্যাত নির্যাতন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে পারেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন তাহলে ওয়াটারবোর্ডিংসহ জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বোমা হামলার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি জঙ্গিরা আরও হামলা করে তাহলে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের চেয়ে নিষ্ঠুর পদ্ধতি চালু করবেন। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করতেই হবে আমাদের।

ওয়াটারবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় বন্দিদের মুখমণ্ডলে নাক ও মুখ একটি  কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এরপর কাপড়টিতে টানা পানি ফেলা হয়। মুখে কাপড় থাকায় বন্দির পক্ষে শ্বাস নেওয়া সম্ভব হয় না। বন্দির মুখ ও নাক দিয়ে পানি প্রবেশ করে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ৪০ সেকেন্ড পরপর এভাবে বন্দিকে নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কয়েকবার এ পদ্ধতিতে নির্যাতন চালানো হয়। ২০১২ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, সিআইএ অন্তত তিন বন্দির ওপর এ ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক আইনে নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদকে তাই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বুশ প্রশাসনের অধীনে ওয়াটারবোর্ডিং ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রচলন করা হয়। এগুলো মধ্যে রয়েছে, মলদ্বার দিয়ে খাবার ঢুকিয়ে দেওয়া ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জলযোজন, ঘুমাতে না দেওয়া এবং যৌন নিপীড়ন। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পরই এসব পদ্ধতি চালু হয়।

২০০৯ সালের জানুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর এক নির্বাহী আদেশে জিজ্ঞাসাবাদের এসব প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সূত্র: দ্য ইন্টারসেপ্ট।

/এএ/