মঙ্গলবার এই নোটটি পাঠানো হয়। রয়টার্স তা শুক্রবার হাতে পায়। এতে ৭৪টি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। সঙ্গে গত পাঁচ বছরে জাতিসংঘের বার্ষিক আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে সংস্থার যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তালিকা চাওয়া হয়েছে নতুন বিদ্যুৎ ও পরিবেশ আইনে কার্বনের সামাজিক ক্ষতি কমানোর বিষয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের। গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি জাতীয় বিজ্ঞানাগারে এ সংস্থার কর্মীরা যেসব লেখা লিখেছেন সেগুলোও চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে রাজনৈতিক শত্রুদের তালিকা তৈরির প্রথম পদক্ষেপ এটা।
অবশ্য ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের কাছে এ বিষয়টি মন্তব্য চেয়েও কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি রয়টার্স।যদিও ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিবেচনা করতে নিজের চিন্তা-ভাবনা খোলা রাখবেন। এতে করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়।
ট্রাম্প টিমের ওই নোটে সংস্থাটির বিজ্ঞানাগারে কাজ ২০ জন সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া কর্মকর্তা ও সবগুলো ওয়েবসাইটের তালিকাও চাওয়া হয়েছে।
এ সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যান রেইচার বলেন, স্পষ্টভাবেই তারা একটি আক্রমণাত্মক ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে। যারা কাজ করছে সেখানে তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বেশ কিছু প্রশ্ন নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। কারণ এতে করে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অনেক কর্মকর্তার চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, এই সংস্থায় ৯০ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/