সিরিয়ায় হস্তক্ষেপে ওবামার পরিকল্পনায় বাদ সাধে ব্রিটেন: কেরির অভিযোগ

জন কেরিমধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পরিকল্পনাকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও দেশটির সংসদকে দায়ী করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কেরি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিরিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো হবে। তবে এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালে দামেস্কতে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সারিন গ্যাস ব্যবহারের পর ‘রেড লাইন’ নামে পরিচিত সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেননি ওবামা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থতাকে ওবামার শাসনামলের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে মনে করা হয়। এবার এ জন্য ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদকে দায়ী করলেন।

সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ব্রিটিশ সংসদ। ওবামাও দীর্ঘদিন এটাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আসছিলেন। জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এবার কেরি এ অভিযোগ আনলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা কেরির কাছে জানতে চেয়েছিলেন রেড লাইন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থতা যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয় কি-না। জবাবে কেরি জানান, সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পর্যালোচনা হয়নি কিংবা সত্যিকার অর্থে যা ঘটেছে তার খবর প্রকাশ হয়নি।

কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন এবং তিনি প্রকাশ্যেই এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি (ওবামা) বলেছিলেন আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি অনুসারে যা করা প্রয়োজন তা করা হবে।’

কেরি বলেন, ওই সময় যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম... প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটিশ সংসদে গেলেন প্রস্তাব নিয়ে... তিনি এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য ভোটে তুললেন। সংসদ এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিল। তারা ক্যামেরনকে আটকে দিলো।

ব্রিটিশ সংসদে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভোট পড়ে। মোট সংসদদের মধ্যে প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ২৮৫ জন। আর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৭২ জন। ব্রিটিশ সংসদে প্রস্তাবটি পাস না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন।  সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/