বহুদিন থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে স্বাধীনতার দাবি দানা বাঁধতে শুরু করে। এই মার্কিন অঙ্গরাজ্যকে একটি জাতিরাষ্ট্রে রূপান্তর করার স্বপ্ন জোরালো হতে থাকে একটু একটু করে। স্বাধীনতার পক্ষে একটি গ্রুপ প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ নামের ওই গ্রুপ বহুদিন থেকে এ সংক্রান্ত প্রচারণাও চালিয়ে আসছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ৫৫ ইলেক্টোরাল কলেজ বিশিষ্ট এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প হিলারির কাছে পরাজিত হন। ফল প্রকাশের পর ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার দাবি আরও জোরালো হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিচ্ছে, এর পর থেকে তারা নানান ধরনের বৈঠক, আলোচনা ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীন ক্যালিফোর্নিয়ার আন্দোলনকে জোরদার করে তুলছেন।
এরই মধ্যে এই গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে একটি আবেদনে স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ চলছে। আবেদনটি আলোচনায় নিতে হলে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৭ জন ভোটারের স্বাক্ষর লাগবে। এই আবেদনটির লক্ষ্য হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীন করে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে কাজ গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে পুরো অঙ্গরাজ্যজুড়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারা প্রতিবাদ ও সভা আয়োজন করছেন। গোষ্ঠীটির নেতা জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত ৫৩টি শাখা খুলেছেন। এসব শাখা নতুন স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ ও আন্দোলনের কৌশল প্রণয়নের কাজ করছে।
৫৭ বছরের টিম ভলমার পেশায় একজন কনসালটেন্ট। কাজ করেন সান ফ্রান্সিসকোতে। তিনি বলেন, প্রধানত আমরা একটি রাষ্ট্রের জন্ম হওয়াটা দেখছি। মুক্ত বিশ্বের যা অবশিষ্ট আছে তার নেতৃত্ব আমরা দিতে পারি। আন্দোলনটির আরেক নেতা মার্কাস রুইজ ইভান্স জানান, আমেরিকা থেকে এমনিতেই আলাদা ক্যালিফোর্নিয়া। ক্যালিফোর্নিয়াকে ঘৃণা করা হয় পুরো আমেরিকাজুড়ে।
প্রাথমিকভাবে ফেসবুকে একটি পেজ খোলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার প্রচারণা। এখন পেজটিতে ৩৯ হাজার মানুষ যুক্ত রয়েছেন। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
/এএ/বিএ/