বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই সিরিয়ায় মার্কিন নৌসেনাদের আগমন শুরু হয়। রাক্কার পাশে একটি ফাঁড়ি স্থাপন করেছে তারা। এখান থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলা ছুড়ছে মার্কিন নৌসেনা। সামনের সপ্তাহে রাক্কায় অভিযান শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-কে সহযোগিতা করতে এর আগে থেকেই মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা সিরিয়ায় অবস্থান করছেন।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি এলিট ফোর্সের বেশ কয়েকজন সদস্যদের রাক্কার উত্তর-পশ্চিমে মোতায়েন করা হয়। তাদের সঙ্গে ছিল ভারী অস্ত্রসম্বলিত সামরিক যান। এসডিএফ ও তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে বিরোধ অবসানের জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে ১ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুয়েত থেকে ওই সেনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিরিয়া ও ইরাকে পাঠানো হবে। সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ছয় হাজার সেনা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তবে কুয়েতে পাঠানো সেনাদের কাজ কী হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/