আদেশটি এখনও প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বাণিজ্যিক চুক্তি পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকবে মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে উত্তর আমেরিকান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা)। এ পুনর্বিবেচনার প্রভাব পড়বে এশিয়া ও আমেরিকার ২০টি দেশে।
যেকোন সময় এই আদেশ জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বুধবার তারা বলেন, বাণিজ্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসসেনর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনা অন্যতম। আগামী সপ্তাহেই এই নির্দেশনা আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
বাণিজ্য চুক্তি ও ক্রয় নীতিমালা পুনর্বিবেচনার জন্য ট্রাম্পের সম্ভাব্য দুই আদেশ নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছিলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো। মার্কিন এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাতে পলিটিকো জানিয়েছিল, ‘বাণিজ্য আদেশগুলো এমনভাবে পরিবর্তিত হবে যেন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।’
নাফটা নিয়ে আগেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এবার নাফটা ছাড়াও অন্যান্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে পুনবির্বেচনার আদেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেছিলেন, ‘আমরা বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছি। এগুলো কিভাবে আরও সময়োপযোগী করা যায় সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডমনিকান রিপাবলিক, এল সালভেদর, গুয়েতামালা, হন্ডুরাস, ইসরায়েল, জর্ডান, মেক্সিকো, মরক্কো, নিকারাগুয়া, ওমান, পানামা, পেরু, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
সিনেট ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর অরিন হ্যাচ জানিয়েছেন, বাণিজ্য চুক্তি পরিবর্তনকে তিনি স্বাগত জানাবেন। তিনি মনের করেন এখন সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো ও বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবুর রস লেসও নাফটা চুক্তির ধারায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রয়নীতিমালা পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে ট্রাম্প ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতিকে গুরুত্ব দেবেন। নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি এই স্লোগান সামনে নিয়ে এসেছিলেন। এই আদেশে বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাটদের কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সমর্থনও পেতে পারেন ট্রাম্প। সূত্র: রয়টার্স।
/এমএইচ/এএ/