ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই নির্বাচনি প্রচারণায় নারীর ওপর হামলা!

Trump assault_19356897_ver1.0_640_360গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার এক সভায় এক নারীর ওপর হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই ওই ব্যক্তি নারীর ওপর হামলা চালান। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

গত বছর মার্চ মাসে ট্রাম্পের সমর্থনে কেন্টাকির লুইসভাইল এলাকায় এক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশের এক ভিডিওতে দেখা যায় আলভিন ব্যামবার্গার নামের ব্যক্তি কাশিয়া নওয়ানগুমা নামের এক নারীকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। ওই সময় ভিডিওতে শোনা যায় ট্রাম্প ‘বেরিয়ে যাও’, ‘এদেরকে এখান থেকে বের করে দাও’ বলে চিৎকার করছেন।

এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর কাশিয়াসহ তিন প্রতিবাদকারী ট্রাম্প, ব্যামবার্গার ও তৃতীয় একজন শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ম্যাটিউ হেইমবাখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত মাসে বিচারক শুনানি শেষে রুল জারি করে যে, মামলা এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ যথেষ্ট। তারা অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই তারা হামলার শিকার হয়েছিলেন।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ব্যামবার্গের আইনজীবীরা নারীর ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেছেন তাদের মক্কেল শুধু স্পর্শ করেছিলেন। একই সঙ্গে আইনজীবীরা ট্রাম্পের পুরো নির্বাচনি প্রচারণা পর্যালোচনা করে দাবি করেছেন, ট্রাম্প সব সময় প্রতিবাদকারীদের সমাবেশ থেকে বের করে দিতে বলেছেন। এমনকি ট্রাম্প একবার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তারা এ কাজটি করবে তাদের আইনি খরচ বহন করবেন।

আইনজীবীরা দাবি করেন, এটা করার কোনও ইচ্ছা ব্যামবার্গের ছিল না। ট্রাম্প ও ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে যদি নির্দিষ্ট আহ্বান ও প্ররোচনা না থাকত তাহলে এটা করতেন না ব্যামবার্গার। ফলে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগটি ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন ব্যামবার্গার।

এদিকে, শুক্রবার ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, বেসামরিক মামলা ট্রাম্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না কারণ তিনি এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট। আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্প কখনও বিক্ষোভকারীদের ইঙ্গিত করে তাদের বের করে দেওয়ার কথা বলেননি এবং যারা এ কাজটি করেছে এ জন্য তারাই দায়ী। সূত্র: গার্ডিয়ান।

/এএ/