সৌদি আরবের কাছে ১৫০ ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার বিক্রির চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

s1.reutersmedia.netসৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব পৌঁছার পর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শনিবার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৫০টি অত্যাধুনিক ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার কিনবে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের এক সরকারি বিবৃতিতে অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লকহিড মার্টিন ব্ল্যাকহক নামের এসব হেলিকপ্টার কিনতে সৌদি আরবের ব্যয় হবে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬০০ কোটি)।

এসব ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার ক্রয়ের ফলে সৌদি আরবে ৪৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন ট্রাম্প। এ সফরের অংশ হিসেবে শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদ পৌঁছান তিনি। এখানে তিনি দুই দিন অবস্থান করবেন। এই দুই দিনে তিনি অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে উপস্থিত হবেন। নিরাপত্তা ও বাণিজ্য বিষয়ক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে ট্রাম্পের সফরে।

ট্রাম্পের সফরের আগেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, সৌদি আরবের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিভিন্ন চুক্তি হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের সফরে একাধিক অস্ত্র বিক্রির চুক্তির জন্য ওয়াশিংটন সৌদি আরবের ওপর চাপ দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে ট্রাম্পের সফরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই অস্ত্র চুক্তি এক দশকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এসব অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব নিজেদের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করবে।

উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলের শেষ দিকে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি কমিয়ে আনে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনে সৌদি অভিযানে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর কারণে সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওবামা প্রশাসন।

সৌদি আরবের অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে শীর্ষ দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম কিনেছে। যার আর্থিক মূল্য ছিল কয়েক বিলিয়ন ডলার। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/