তদন্তের মুখে থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

3500মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। শুক্রবার সকালে টুইটারে এক পোস্টে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, এফবিআই প্রধানকে বরখাস্তের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। যিনি আমাকে এফবিআই প্রধানকে বরখাস্তের কথা বলেছিলেন তিনিই করছেন তদন্ত!  কোন ফাঁদে পড়লাম।

বুধবার কোমিকে বরখাস্তের ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা প্রথম জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে তখন হোয়াইট হাউস বা ট্রাম্প বিষয়টি স্বীকার করেননি। শুক্রবার টুইটারে বিষয়টি স্বীকার করে খবরটি সত্যতা নিশ্চিত করলেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,  ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। ট্রাম্প-টিমের সঙ্গে রাশিয়ার নির্বাচনকালীন সংযোগ-এর চলমান তদন্ত কাজে তিনি বাধা সৃষ্টি করছেন কিনা, নতুন তদন্তে তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচার বিভাগ। বিভাগের পরামর্শক রবার্ট মুলার ওই তদন্ত কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।  

শুক্রবার আরেকটি টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, সাত মাস ধরে তদন্ত ও সিনেটে শুনানির পরও কেউ রাশিয়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকার বিষয়ে কোনও প্রমাণ পায়নি। দুঃখজনক!

গত নভেম্বরের নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। তবে ট্রাম্প বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়।

রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত চলাকালে হঠাৎ করেই গত চলতি বছরের ৯ মে জেমস কোমিকে এফবিআই প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করেন ট্রাম্প। এ ঘটনায় ট্রাম্পের রুশ সংযোগের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সিনেট কমিটির শুনানিতেও নিজের অপসারিত হওয়ার ঘটনায় ট্রাম্পের রুশ সংযোগকেই দায়ী করেন সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি। সূত্র: গার্ডিয়ান।

/এএ/