দক্ষিণ চীন সাগরে নজরদারি চালাতে ফিলিপাইনে মার্কিন বিমান

বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে নজরদারি চালানোর জন্য ফিলিপাইনে দুটি বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক ইঞ্জিনে একেবারে নবনির্মিত দুটি বিমান ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। নজরদারির যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ এই দুটি বিমান দক্ষিণ চীন সাগরে তথ্য সংগ্রহ করবে।

1599501

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় একটি সামরিক প্রদর্শনীতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেঞ্জানা এই বিমান মোতায়েন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই বিমানগুলো সাগরে আমাদের টহলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সহযোগিতা করবে।

সেসনা ২০৮বি বিমানগুলোতে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর রয়েছে। আছে যে কোনও জাহাজকে শনাক্ত করার জন্য নজরদারি প্রযুক্তি। এই সামরিক বিমানগুলো ২৫ হাজার উচ্চতায় কয়েক ঘণ্টা চলতে পারে এবং ১ হাজার নটিক্যাল মাইল পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি বিমান নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার।

ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মিন্দানাউয়ের দক্ষিণাঞ্চলের মারাউই শহরে আইএসবিরোধী লড়াইয়েও এসব বিমান ব্যবহার করা হতে পারে।

দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক স্থাপনার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাঝে মধ্যেই মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ চলাচল করে। চীন সাগরের আকাশেও মার্কিন গোয়েন্দা বিমানও চলাচল করে। চীন এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়ে আসছে। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/