২০০৪ সালে প্রকাশিত থিংক লাইক এ বিলিওনিয়ার বইয়ে একটি উপদেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘ছুটি নিয়েন না। কী দরকার? আপনি যদি নিজের কাজ উপভোগ করতে পারেন না, তাহলে আপনি ভুল পেশায় রয়েছেন।’
ট্রাম্পের এই ছুটির সঙ্গে হোয়াইট হাউসের মেরামতের কাজও কিছু মাত্রায় সংশ্লিষ্ট। ২৭ বছরের পুরনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আধুনিক করার কাজে ওয়েস্ট উইংয়ের সব কর্মীদের আগস্ট মাস ছুটিতে থাকতে হবে। এই তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নারী মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার্স। তিনি জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মলসহ আরও বেশ কিছু মেরামতের কাজ চলবে এই সময়ে।
ছুটি কাটাতে গিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কের মুখে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এর আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছুটি কাটানোর সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচকরা বলছেন ওবামার ছুটির তুলনায় ট্রাম্প দ্বিগুন সময় ছুটি কাটাবেন।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওবামা আট দিন ছুটি কাটিয়েছিলেন। ওই সময় ওবামার সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি আপনাদের জন্য কাজ করব। আমার গলফ খেলার সময় থাকবে না।
২০০৯ সালের আগস্টে মার্থার ভাইনইয়ার্ডে ছুটি কাটানোর আগে ওবামা আরও দুটি ছুটি কাটিয়েছিলেন, যে ছুটির সঙ্গে কাজের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি ছিল প্রশাসনের। একটি ছিল আরিজোনাতে, অপরটি কলোরাডোতে। এছাড়া ভ্যালেন্টাইন দিবসে শিকাগোতে পরিবার নিয়ে চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন ওবামা।
বিপরীতে ট্রাম্প কাজ সংশ্লিষ্ট ১১ দিনের ছুটি নিয়েছেন চলতি মাস পর্যন্ত। ফ্লোরিডার পাম বিচ ও নিউ জার্সিতে এ ছুটি কাটান তিনি। জুনে ম্যারিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে সাপ্তাহিক ছুটিও কাটিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই ছুটি নিয়ে নিউ জার্সির অনেক বাসিন্দাই খুশি নন। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ মানুষকে বেশ কিছুটা ধকল পোহাতে হবে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। চলতে পারবে না ১১০টি বেসরকারি বিমান। বন্ধ রাখা হয়েছে ৬০ বিমান প্রশিক্ষণ স্কুল।
সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের অবস্থানের সময়ে ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত অজ্ঞাত ড্রোন ব্যবহার করা হবে। প্রেসিডেন্টের মোটরবহরের জন্য কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/