সিআইএ’র নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির দুই উদ্ভাবক কাঠগড়ায়

cia-interrogation-defendantsযুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, সিআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাতন পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই মনোবিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হচ্ছে। সিআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাতনমূলক পদ্ধতির শিকার তিন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শুরু হবে আগামী মাসে। ওয়াশিংটন স্টেট-এর এক বিচারক এই রুল জারি করেছেন।

বিচারক জাস্টিন কুয়াকেনবুশ সোমবার অভিযোগটি সম্পর্কে একটি লিখিত মত দিয়েছেন। এতে তিনি মনোবিজ্ঞানী জেমস মিচেল ও জন ব্রুস জেসেনকে সিআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির আবিষ্কারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিচারক বলেছেন এই দুই মনোবিজ্ঞানী জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাতনমূলক পদ্ধতির শিকার হয়েছেন অভিযোগকারী তিন ব্যক্তি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে খবরে বলা হয়েছে, এখন বিষয়টি ওয়াশিংটনের স্পোকান-র জুরিদের ওপর নির্ভর করছে। জুরিরা ঠিক করবেন দুই মনোবিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পদ্ধতির ফলে নির্যাতনের শিকার হওয়ার ব্যক্তিদের যে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়েছে সেটার আর্থিক ক্ষতিপূরণ তাদের ওপর বর্তায় কি না।

সিআইএ-র সঙ্গে এই দুই মনোবিজ্ঞানী ৭৫-৮১ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি ছিল। এই চুক্তির আওতায় তারা সিআইএ-র জন্য নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের শিকার দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন হলেন তাঞ্জানিয়ার নাগরিক সুলেইমান আব্দুল্লাহ সেলিম ও এক লিবীয় নাগরিক মোহাম্মেদ বেন সৌদ। ২০০৩ সালে আফগানিস্তানে সিআইএ-র একটি গোপন কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের পরও বেঁচে যান এই দুই ব্যক্তি। অভিযোগকারী তৃতীয় ব্যক্তি একজন আফগান নাগরিক গুল রহমান। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে মারা যান।

সিআইএ-র গোপন কারাগারে নির্যাতন শিকার হওয়ার ঘটনায় এটিই প্রথম মামলার ঘটনা। এর আগে ওবামা ও বুশের আমলে বিচারকরা এমন মামলা খারিজ করে দিয়েছিলেন। সূত্র: গার্ডিয়ান।

/এএ/