ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা কুশনার, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততাকারী জ্যাসন গ্রিনব্লাট, ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার দিনা পাওয়েল জেদ্দাতে সৌদি আরবের যুবজার মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর মার্কিন প্রতিনিধি দলটি দোহায় গিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের পাশাপাশি উভয় পক্ষ মধ্যপ্রাচ্যের উন্নতি এবং নিরাপত্তা ও স্থায়ীত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানায়, গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি ও জীবনমানের উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন কাতারের আমির।
উভয় দেশের পক্ষ থেকে চলমান কূটনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনার বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে চলতি মাসের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিনিধিদের সফরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্ডান, মিসর, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফর করবে।
৫ জুন সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে। এর ফলে স্থল পথে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকতে হয় কাতারকে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।
সূত্র: রয়টার্স।