হোয়াইট হাউসেও ইঁদুর, তেলাপোকা ও পিঁপড়ার উপদ্রব!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় ও বাস ভবন হোয়াইট হাউসের রক্ষণাবেক্ষণ-কর্মীরা বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। কর্মকর্তাদের কাছে জানানো এসব সমস্যার মধ্যে ছিল ইঁদুর-তেলাপোকা-পিঁপড়ার উপদ্রবও।  

হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউসের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের আদেশের একটি তালিকা সংগ্রহ করেছে এনবিসি ওয়াশিংটন। এর মধ্যে বারাক ওবামার প্রশাসনের শেষ বছরের কার্যাদেশও রয়েছে। সেই তালিকা থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে হোয়াইট হাউসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের মেসে খাবার সরবরাহ করা হয় যেখান থেকে, সেখানে ও হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমেও ইঁদুর দেখা গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। গত দু বছরে এসব সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকশো অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

ইউ এস জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) রক্ষণাবেক্ষণ কাজগুলোর তদারকি করে। এর সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্রায়ান মিলার এনবিসি ওয়াশিংটনকে বলেন, ‘এগুলোতো খুব পুরনো ভবন। এরকম পুরোনো বাড়ি যাদের আছে, তারা জানে যে এরকম বাড়িতে কী পরিমাণ কাজ থাকে।’

এই কার্যাদেশ তালিকা দেখে বোঝা যাচ্ছে, ডাইনিং রুমে তেলাপোকা আর চিফ অব স্টাফ কোয়ার্টারগুলোতে পিঁপড়া খুব বড় সমস্যা। সাংবাদিকরা কাজ করেন যে প্রেস লবিতে, সেখানকার রান্নাঘরে তেলাপোকা আর পিঁপড়া দুটিরই উপদ্রব রয়েছে।

এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন হোয়াইট হাউসে আসেন, তখন এসব উপদ্রব মোকাবেলার পাশাপাশি আরও অনেক মেরামতের কাজের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সাবেক প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার তার অফিসের আসবাবপত্র সরানোর জন্য আবেদন করেছিলেন।

অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার ফায়ার প্লেসের সামনের বিখ্যাত ‘মার্থা ওয়াশিংটন চেয়ার’-এর পায়া মেরামত করার জন্য রক্ষণাবেক্ষণকর্মী চেয়েছেন। এছাড়া ফার্স্ট লেডির তিন তলার ইস্ট উইং অফিসে সাজানোর জন্য নতুন পর্দা লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছিল।

মিলার জানান, হোয়াইট হাউসের রক্ষণাবেক্ষণ করা সাঙ্ঘাতিক কাজ। এর একটা বড় কারণ স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব। সূত্র: বিবিসি বাংলা।