জাতিসংঘ না পারলে সিরিয়া যুদ্ধে এককভাবে ভূমিকা রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ যদি সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সিরিয়াতে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান তুলে ধরে তিনি আরও জানিয়েছেন, গত বছরে রাসায়নিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় নিজ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা করেছিল। যদি একলাই চলতে হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এরকম হামলা আবারো করতে সক্ষম। রয়টার্স তদের প্রতিবেদনে হ্যালিকে উদ্ধৃত করেছে, ‘যদি (যুদ্ধ) করতেই হয় তাহলে তার জন্য (ওয়াশিংটন) প্রস্তুত।’noname

জাতিসংঘ সিরিয়ার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের একক ভূমিকা রাখার প্রসঙ্গে নিকি হ্যালি বলেছেন, ‘আমরা এরকম করতে চাই না। কিন্তু আমরা করে দেখিয়ে দিয়েছি, দরকার হলে এমন করার জন্য আমরা সক্ষম। যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ধারাবাহিকভাবে কার্যকর কোনও কিছু করতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন এককভাবে এগিয়ে যাওয়াটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্বাভাবিক।’ যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মোতাবেক দামেস্ক ও পূর্ব ঘৌটায় ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর  না হওয়ার প্রেক্ষিতে, নিকি হ্যালি যুক্তরাষ্ট্রের এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সতর্ক করে দিলেন। নিরাপত্তা পরিষদ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি  কার্যকর করতে চাইলেও রাশিয়া আপত্তি  জানিয়ে বলেছিল, যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ভেতরে কোন সমঝোতা না হলে নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব চাপিয়ে দিতে পারে না।

পূর্ব ঘৌটায় রাশিয়ার সমর্থনে আসাদ বাহিনী বিদ্রোহীদের কোনঠাসা করে ফেলেছে। এলাকাটিতে মুহুর্মুহ বিমান হামলা করার বিষয়ে তাদের বক্তব্য, বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকা থেকে রাজধানী দামেস্কতে বোমা হামলা করে বিদ্রোহীরা। বিধ্বস্ত পূর্ব ঘৌটায় মানবিক অবস্থা শোচনীয়। এমন কি ত্রাণ কার্যক্রমও ঠিক মতো চালানো যাচ্ছে না সেখানে। এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিয় গুতারেস বলেছেন, ‘সহিংসতা থামার কোনও লক্ষণ নেই। পূর্ব ঘৌটায় থকে শুরু করে আফরিন, ইদলিব এবং দামেস্কতেও সহিংসতা চলছে। কোনও আক্রমণ এখন পর্যন্ত থামেনি। আমাদের জানা মতে একজন আহত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’