'ডিজিটাল জেনেভা কনভেনশন' বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা

সাইবার হামলায় সহায়তা দেবে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রযুক্তি বিশ্বের নামকরা ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলা চালাতে কোনও দেশের সরকারকে সহায়তা না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে হওয়া বা ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা, যেরকমই হোক না কেন, সকল ধরণের সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে ‘সাইবার সিকিউরিটি টেক অ্যাকর্ড’ শীর্ষক যৌথ ওই ঘোষণায়। প্রস্তাবনায় সম্মতি দিয়েছে মাইক্রোসফ্ট, ফেসবুক, সিসকো, জুনিপার নেটওয়ার্কস, ওরাকল, নোকিয়া, স্যাপ, ডেল, সিমানটেক, ফায়ারআই ট্রেন্ড মাইক্রোসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে প্রযুক্তি শিল্পে থাকা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষকদের মধ্যে নতুন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে হামলা ও নিরাপত্তা দুর্বলতার বিষয়ে একে অপরকে অবহিত করতে পারা যায়।ok

মাইক্রোসফ্টের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ মঙ্গলবার সানফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আরএসএ সাইবার সিকিউরিটি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আমরা এক নতুন বাস্তবতার মধ্যে এসে পড়েছি। আমাদেরকে এক নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের উপস্থিতির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে যেখানে ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র।’ ২০১৭ সালে হওয়া সাইবার হামলার ভয়াবহতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ওই ঘটনার পর থেকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝতে শুরু করেছে, বিশ্ব জোড়া গ্রাহক ও ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে একযোগে কাজ করার নীতিভিত্তিক পথ অনুসরণ করতে হবে।

গত বছরের আরএসএ কনফারেন্সের পর থেকেই একটা ডিজিটাল জেনেভা কনভেনশন গড়ে তলার চেষ্টা করছেন ব্র্যাড স্মিথ। তার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো সাইবার হামলা থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের রক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গড়ে তোলা। তার প্রস্তাব, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে যেমন জেনেভা চুক্তি হয়েছিল ঠিক তেমনি সাইবার হামলার বিরুদ্ধে একটি চুক্তি বাস্তবায়িত করা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, এ বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি মাইক্রোসফ্ট। সংস্থাটি নিজে আগে কোনও সরকারি সাইবার হামলায় সহযোগিতা করেছে কি না এ প্রশ্নের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। তাছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান আইনগতভাবে সাইবার হামলা চালাতে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তারা কিভাবে প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে, এমন জিজ্ঞাসারও কোনও উত্তর পায়নি রয়টার্স। সাইবার হামলা চালানোর সরকারি আদেশ পেলে কিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে তা পালনে অস্বীকার করবে, সে বিষয়টিও অস্পষ্ট।