মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কে নজরদারির ব্যাখ্যা দাবি ৪ সিনেট সদস্যের

যুক্তরাষ্ট্র সংসদের উচ্চকক্ষের চার সদস্য দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যাপক মাত্রায় মোবাইল ফোনের ওপর সন্দেহজনক নজরদারি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই চিঠির জবাব এখন পর্যন্ত না দিলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকার আগে স্বীকার করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট।

s4.reutersmedia.net

ডেমোক্র্যাট সিনেটর রন  ওয়াইডেন ও এড মার্কে এবং রিপানলিকান সিনেটর র‍্যান্ড পল ও কোরি গার্ডনার এই নজরদারির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। সিনেটরদের ভাষ্য, ‘যুক্তরাষ্ট্রের টেলিফোন নেটওয়ার্ক নজরদারির বিচারে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে কতটা অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে তা জানতে পারাটা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের আইনসঙ্গত আধিকার।’ সিনেটরদের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএইচএস কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে হওয়া অস্বাভাবিকতার বিষয়ে জানালেও  নাগরিকদের জন্য কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির’ (ডিএইচএস) কাছে লেখা সিনেটরদের ওই চিঠির বিষয়ে ডিএইচএসের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রয়টার্স লিখছে, গত ২৬ মার্চ ওয়েডেনকে লেখা চিঠিতে তারা জানিয়েছিল,  ফোন নেটওয়ার্কের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবগত এবং  তা ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি’ (আইএমএসআই) ক্যাচারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফোন নেটওয়ার্কে নজরদারির কাজে কারা জড়িত থাকতে পারে বা কী ধরণের যন্ত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ডিএইচএস।

মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের ওই অস্বভাবিকতা কোনও বিদেশি পক্ষ বা অপরাধী চক্রের দ্বারা সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে, জানিয়ে ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনসের’ কমিশনার ডেমোক্র্যাট জেসিকা রোজেনওরসেল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘নজরদারি করার যন্ত্রগুলো দিয়ে ব্যবহারকারীর গতিবিধি প্রতি সেকেন্ডে গোপনে জানা সম্ভব। নজরদারিতে ব্যবহৃত ওই যন্ত্রগুলো বৈধ সেলুলার টাওয়ারের মতো কাজ করে এবং ফোন ব্যবহারকারীদের কথোপকথন রেকর্ড করতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে। এ অবস্থায় সরকারি সংস্থা জনগণের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকতে পারে না। আপাতদৃষ্টিতে আসল সেলুলার টাওয়ারের মতো মনে হওয়া যন্ত্রগুলোর অস্তিত্ব যদি থেকেই থাকে, তাহলে সরকারকে ব্যখ্যা দিতে হবে যে বিদেশিরা কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এমন কাজ করছে।’

এ মাসেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের তিনজন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট সদস্য এফসিসির প্রধান অজিত পাইয়ের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, দেশের রাজধানীতে জনগণের ওপর বিদেশি নজরদারির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে। জবাবে এফসিসি বলেছিল, তারা শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনে নজরদারি যন্ত্রের অনুমোদন দেয়।