গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ তদন্তে জাতিসংঘের প্রস্তাব আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভয়াবহ সহিসংতা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় জাতিসংঘের তদন্তের প্রস্তাব জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতায় একদিনে নিহত অন্তত ৫৮

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিন ফিলিস্তিনিদের চলমান ভূমি দিবসের বিক্ষোভে সোমবার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫৮ জন নিহত ও ২ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একদিনে এত সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা এটাই প্রথম।

নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া বিবৃতিটি পাঠ করেছে এএফপি।  ওই বিবৃতিতে বরা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার পালনকারী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করছে নিরাপত্তা কাউন্সিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থে নিরাপত্তা কাউন্সিল একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে।’ এতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানানো হয়।

তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে ইঙ্গিত করে নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র শহর জেরুজালেমের অবস্থান ও ভৌগলিক পরিবর্তনের আইনগত কোনও প্রভাব নেই।

১৯৬৭ সালে জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার বৈধতা দেয়নি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা দাবি করে আসছেন পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হবে। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের একক রাজধানীর স্বীকৃতি দেন।  ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এরপর জেরুজালেম বিষয়ে যেকোনও সিদ্ধান্ত অকার্যকর ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও প্রস্তাব পাস হয়। সূত্র: এএফপি।