২০ লাখ ফিলিস্তিনির শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহারে জর্ডানকে চাপ দেন কুশনার

জর্ডানে বসবাসরত বিশ লাখ ফিলিস্তিনির শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহারে আম্মানকে চাপ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার যে পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এই চাপ প্রয়োগ করে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সাময়িকি ফরেন পলিসি এখবর জানিয়েছে।

218_7-7-Jared-KushnerDiWSli5X0AA2WNk

মার্কিন ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, ইউএনআরডব্লিউএ বা আনরওয়া বলে পরিচিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের দাতব্য সংস্থার কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সংঘাত নিরসনের আলোচনায় যাতে করে শরণার্থী ইস্যুটি না থাকে সেজন্যই এই পদক্ষেপের দিকে হাঁটছে হোয়াইট হাউস।

ফরেন পলিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে কুশনার ও ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কয়েকটি ইমেইল হস্তগত হয়েছে। যেগুলো স্পষ্ট করে কুশনার জানিয়েছেন, আনওয়া’র কাজ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এই ইমেইলে কুশনার লিখেছেন, এই সংস্থার অবস্থান একপাক্ষিক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর। এটা শান্তি প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করছে না। পরিস্থিতি যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রেখে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। অনেক কৌশলগত কারণে ঝুঁকি নিতে হয় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য।

উল্লেখ্য, জ্যারেড কুশনার ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত ও মধ্যস্ততাকারী জ্যাসন গ্রিনব্লাট ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি আলোচনা ও সংঘাত সমাধানে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাময়িকিটি জ্যাসনের সিনিয়র রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টোরিয়া কোটসের পাঠানো একটি ইমেইলের কথাও তুলে ধরেছে। হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো  ওই ইমেইলে কোটস লিখেছেন, হোয়াইট হাউস ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থাটি বিলোপ করতে চায়। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।