পুতিনকে ট্রাম্পের চিঠি, সিনেটর ও হোয়াইট হাউজের পরস্পরবিরোধী দাবি

মার্কিন সিনেটর র‍্যান্ড পল বুধবার জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি চিঠি তিনি পুতিন প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এই দায়িত্ব পালন করতে পেরে তিনি গর্বিত। কিন্তু হোয়াইট হাউজের বক্তব্য ভিন্ন। তারা দাবি করেছে, চিঠিটি র‍্যান্ড পলের অনুরোধেই লিখে দিয়েছেন ট্রাম্প, যাতে তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ উল্লেখ করেছে, হেলসিংকিতে হওয়া দুই নেতার সম্মেলনের তিন সপ্তাহের মাথাতেই পুতিনকে চিঠি লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।ok
র‍্যান্ড পল টুইটারে জানিয়েছেন, পুতিনকে লেখা চিঠিটিতে ট্রাম্প জঙ্গিদমন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারের কথা লিখেছেন। এবিসি নিউজ লিখেছে, সাম্প্রতিককালে র‍্যান্ড পলকে ট্রাম্পের সমর্থনে জোরালো অবস্থান নিতে দেখা গেছে। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়টি রাশিয়া অস্বীকার করে আসছে। আর রাশিয়ার এই অস্বীকৃতিকে মেনে নেওয়ার অভিযোগে সমালোচনা বেড়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু র‍্যান্ড পল এ বিষয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।
র‍্যান্ড পল চিঠিটি পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের লেখা হিসেবে উল্লেখ করলেও হোয়াট হাউজের পক্ষ থেকে এ চিঠির বিষয়ে ভিন্ন কথা বলা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ বলেছে, ওই চিঠিটি র‍্যান্ড পলের অনুরোধেই লিখেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলের ভাষ্য, ‘সিনেটর পলের অনুরোধেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পরিচয় উল্লেখ করে ইন্ট্রোডাক্টরি চিঠিটি লিখে দিয়েছেন। চিঠিতে ট্রাম্প সেসব বিষয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন যেসব বিষয়ে সিনেটর পল প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন।’
তবে সাংবাদিকদের অন্য একটি কৌতূহলের বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি হোয়াট হাউজ। দুই দেশের সর্বোচ্চ দুই নেতার মধ্যে যে এমন যোগাযোগ হচ্ছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে র‍্যান্ড পলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কেন তথ্য জানানো হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও কিছু বলেনি হোয়াইট হাউজ।
র‍্যান্ড পল মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির একজন সদস্য। এই সপ্তাহেই মস্কোতে রাশিয়ার সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে রুশ নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যান্ড পল বলেছিলেন, ‘আমার রাশিয়া আসার কারণ, যোগাযোগের সব পথ খোলা রাখা।’