মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়া বৈধ ছিল: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে এক নারীকে অর্থ দেওয়া বৈধ ছিল এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাবিধির লঙ্ঘন হয়নি। সম্প্রতি কোহেন স্বীকার করেছেন নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য ওই নারীকে অর্থ দিয়ে প্রচারণাবিধি ভঙ্গ করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_lede

ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ওই অর্থ দেওয়া হয়েছে তার ব্যক্তিগত খাত থেকে। নির্বাচনের প্রচারণার খাত থেকে তা দেওয়া হয়নি।

এর আগে মুখ রাখার বিষয়ে অর্থ দেওয়ার প্রসঙ্গটি সম্পর্কে জানার কথা অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হবে। সাক্ষাৎকারের প্রকাশিত চুম্বক অংশে দেখা গেছে একটি প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করছেন, অর্থ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি প্রচারণাবিধি ভঙ্গ করেননি। এই আমার কাছ থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি এটা নিয়ে টুইট করেছি। কিন্তু এই অর্থ প্রচারণা থেকে আসেনি।

যদিও ট্রাম্প দাবি করেছেন, অর্থ দেওয়ার পরেই তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। আর ট্রাম্পের এই বক্তব্য কোহেনের স্বীকারোক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোহেন শপথ নিয়ে দাবি করেছেন, ট্রাম্প তাকে ওই নারীকে অর্থ দিতে বলেছিলেন।

এপ্রিলে পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য অর্থ দেওয়া নিয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার পরিশোধ করেন কোহেন। ড্যানিয়েলেসের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি দাবি করেছেন, ২০০৬ সালে একটি হোটেল কক্ষে ট্রাম্প তার সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে মিলিত হন।

পরের মাসেই ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন ২০১৬ সালে কোহেনকে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রচারণার আর্থিক নীতিমালা অনুসারে, রাজনৈতিক প্রার্থীর বিব্রতকর ঘটনা সম্পর্কে অজ্ঞাত অর্থ পরিশোধ আইনের লঙ্ঘন। প্রসিকিউটর ও কোহেন এই বিষয়ে একমত। কোহেন দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন। তিনি দুই নারীকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের একজন হলেন ড্যানিয়েলস এবং অপরজন সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডুগাল।