যৌন নিপীড়নের শিকার ১৪ বছর ধরে কোমায় থাকা নারী

কেউই জানত না ওই নারী গর্ভবতী। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম দিকে নিশ্চিত ছিলেন কেন ওই নারী গোঙাচ্ছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির মুখপাত্র সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে যাতে কোনও রোগীকে পড়তে না হয় সেজন্য প্রতিরোধমূলক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা সম্পর্কেও মন্তব্য করেননি মুখপাত্র।

প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনার ফিনিক্স পুলিশ শনিবার এক যৌন হামলার তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতালে ১৪ বছর ধরে কোমায় থাকা এক নারীর সন্তান জন্মদানে এই তদন্ত শুরু হয়েছে।

হাসেইন্দা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এই নারী পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে গত ১৪ বছর ধরে কোমায় ছিলেন। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর ওই নারীর গর্ভে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কেউই জানতেন না ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালের কর্মীরাও প্রথমে বুঝতে পারেননি কেন ওই নারী গোঙাচ্ছিলেন।

স্থানীয় পুলিশের সার্জেন্ট টমি থম্বসন বলেন, ফিনিক্স পুলিশ বিভাগ ঘটনাটি এখন তদন্ত করছে।

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির মুখপাত্র ডেভিড লেইবোউইৎজ জানান, হাসপাতালের এক রোগীর ‘গভীর বিতর্কিত ঘটনা’ সম্পর্কে তারা অবগত। তবে সন্দেহভাজন শনাক্তের জন্য কর্মীদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা বা রোগীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এক ইমেইল বার্তায় মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যের গোপনীয়তার নীতি অনুসারে রোগীদের স্বাস্থ্য ও অবস্থা সম্পর্কে আলোচনায় নিষেধ রয়েছে। এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।

নিপীড়নের শিকার নারীর আইনজীবী থাশা মেনাকের জানান, সন্দেহভাজন শনাক্তের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির সব পুরুষ কর্মীদের ডিএনএ পরীক্ষা করাই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ।

আরিজোনার গভর্নর ডউ ডুসি’র মুখপাত্র ঘটনাটিকে গভীর উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। সূত্র: রয়টার্স।