ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা চেয়েছিল হোয়াইট হাউস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার বিস্তারিত পরিকল্পনা সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছিল। গত শরৎকালে তেহরান থেকে বাগদাদে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর মর্টার নিক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস রয়েছে। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এখবর জানিয়েছে।

জন বোল্টন

খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন জন বোল্টন। সামরিক হামলার পরিকল্পনা চাওয়ার ফলে পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্বেগ শুরু হয়েছিল।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা দেওয়া হয় হোয়াইট হাউসের কাছে। তবে ওই পরিকল্পনায় ইরানে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল কিনা বা ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত কিনা তা জানা যায়নি।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কূটনৈতিক স্থাপনায় তিনটি মর্টার নিক্ষেপ করা হয়। মর্টারের শেলগুলো একটি খোলা স্থানে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার দুই দিন পর অজ্ঞাত জঙ্গিরা তিনটি রকেট ছুড়ে। এই রকেটগুলো ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় বসরা শহরে মার্কিন কনস্যুলেটে আঘাত হানে। যদিও এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানানো হয়নি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বেশ কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র গ্যারেট মারকুইস জানান, হামলার সম্ভাব্য সবধরনের পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করা হয়েছিল।