নতুন করে অচলাবস্থা (শাটডাউন) ঠেকাতে হাউস অব রিপ্রেজেনটিটিভে অনুমোদন পাওয়া সীমান্ত নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে একইসঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণে জন্য বরাদ্দ নিশ্চিতে তিনি জাতীয় জরুরির অপশনও হাতে রেখেছেন। এতে করে সংসদকে পাশ কাটিয়েই তিনি দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের আদেশ দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু হাউসের স্পিকার ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, জরুরি অবস্থা জারি হলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় মাত্রায় 'অস্বস্তিকর' পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মার্কিন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তার আগেই বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমঝোতার অভাবে কখনও কখনও মার্কিন কংগ্রেস তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনার তহবিল জোগান দেওয়া হয়। অস্থায়ী এই বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদনসহ প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ট্রাম্পের চাহিদা মাফিক অর্থ দেওয়া নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় গত ডিসেম্বরে আংশিক শাটডাউনের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে গত ২৫ জানুয়ারিতে ৩৫ দিনের সে শাটডাউনের অবসান হয়। নতুন করে অচলাবস্থা এড়াতে বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদ বাজেট অনুমোদন দেয়। কিন্তু সীমান্ত দেওয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এমন অবস্থায় কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে দেওয়াল নির্মাণের অর্থ পেতে জরুরি অবস্থা জারির অপশন যে বিবেচনাধীন রয়েছে তা জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারের বাজেট বরাদ্দের বিলে স্বাক্ষর করবেন। আর তিনি আগের ঘোষণা মতোই জরুরি অবস্থা জারির নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতির পর মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটিটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে তার যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। পেলোসির ভাষ্য, মেক্সিকো সীমান্তে এমন কোনও সংকট নেই, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। ডেমোক্র্যাটরা জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করবে কি না সে প্রশ্নে সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও পেলোসি বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে বড় রকমের অস্বস্তিতে পড়তে হবে ট্রাম্পকে।