যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সিরিয়া ছেড়ে ইরাক যাচ্ছে

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করা যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা ইরাকে অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। রবিবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুসারে এক হাজার সেনা ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে সহযোগিতা করবে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার করা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

_109304570_057426879

মার্ক এসপার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরাকের প্রতিরক্ষা ও আইএসের পুনরুত্থান মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের প্রত্যাহার চলবে। আমরা দিন নয়, সপ্তাহের কথা বলছি। এখনকার পরিকল্পনা হচ্ছে, সিরিয়া থেকে সেনাদের ইরাকে মোতায়েন করা।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা যে কোনও পাল্টে যেতে পারে। তবে আপাতত এটিই সরকারের পরিকল্পনা।

গত ৬ অক্টোবর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সমালোচকদের ভাষায়, গত সপ্তাহে ওই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তুরস্ককে হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে। ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। পরে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় গত ১৭ অক্টোবর ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা।

সিরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম ইখবারিয়া  জানিয়েছে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর রাস আল-আইন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।