যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে

বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনও দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৩২৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৩৩ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৫ জন।

b5f4cdad6a4544a28e1ba5dd72435130_18

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত ১৮ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্বের মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। দেশটির আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশ নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের। এরপর আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলো হলো নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া ও পেনসিলভানিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়ালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হচ্ছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অঙ্গরাজ্যের নেতৃত্বকে স্কুল চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেছেন, অর্থনীতি পুনরায় চালু করার জন্য মানুষ উন্মুখ।

মার্চ মাসে করোনার বিস্তার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

করোনা মহামারিতে লকডাউন জারির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। গত পাঁচ সপ্তাহে বেকার ভাতার জন্য অন্তত ২৬ মিলিয়ন মানুষ আবেদন করেছেন। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবগাত (২৯ এপ্রিল) রাত পৌনে একটা নাগাদ বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৮৪৪ জনে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ১৮ হাজার ৮০৯ জন।